আলোর মনি রিপোর্ট: দু’চোখে সোনালী স্বপ্ন বুনেই যেনো এখন পাট ক্ষেতে নিরলস ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাট জেলার কৃষকরা। কাকডাকা ভোর থেকে তারা নেমে পড়ছেন পাট ক্ষেত পরিচর্যায়। গতবছর প্রতি মন পাট ২হাজার ২শত টাকা দরে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। তাই এবারও তারা পাটের ভাল দাম পাওয়ার আশায় পাট ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চর খাটামারী এলাকার কৃষক এস এম হাসান আলী জানান, গতবছর পাট চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তাই এবারও পাট চাষ করেছেন।
ধাইরখাতা বাশঁপচাই এলাকার কৃষক মোঃ আহের আলী জানান, গতবছর ১হাজার ৭শত থেকে ২হাজার ২শত টাকা মন দরে পাট বিক্রি করেছেন। গতবছর কৃষকরা বিঘাতে ১০ থেকে ১২ মন পাট পেয়েছেন। সার বীজ, কীটনাশক মিলিয়ে বিঘাতে খরচ পড়ে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা। আবহাওয়া ভাল থাকলে বিঘাতে উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১২ মন পাট।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রী মুকুল চন্দ্র সরকার বলেন, কৃষকরা করোনা ভীতি উপেক্ষা করে পাটসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছে। এবার কৃষকরা ফাল্গুন মাস থেকে শুরু কররে বৈশাখ মাস পর্যন্ত পাট বীজ বপন করে। তারা এই ফসল তুলবে আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাসের মধ্যে।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলা পাট চাষের জন্য প্রসিদ্ধ।